বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২ (১০০ টাকা বোনাস)

ডাক বিভাগের ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ। এটি ব্রাক ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত একটি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। 



কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজে প্রিয়জনদের কাছে টাকা পৌঁছানো সম্ভব। যার কারণে বিকাশ মানুষের কাছে লেনদেনের এক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সবসময় আকর্ষণীয় সব অফার দেওয়ায় এটি গ্রাহকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই এই আর্টিকেলে আমরা বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২ নিয়ে আলোচনা করব। 


বিকাশ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ। এখন ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। তার জন্য জানতে হবে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম। 



তো চলুন জেনে নেই ঘরে বসে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়, বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম কি এবং বিকাশ একাউন্ট খোলার অফার সম্বন্ধে। 


বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২

অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর তুলনায় বিকাশ অনেক এগিয়ে। আর বিকাশ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ। বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট অর্থাৎ এজেন্টের কাছে গিয়ে কাগজপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি আপনি ঘরে বসেই মোবাইল  দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। মোট দুইটি উপায়ে খোলা যাবে বিকাশ একাউন্ট। 


  1. বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে 
  2. এজেন্টের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়ে।


তবে এর আগে আমাদের জানতে হবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে। 


বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন 

যা বললাম দুইটি পদ্ধতিতে বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে। আর আপনি যে পদ্ধতিতেই বিকাশ একাউন্ট খুলেন না কেন, তার জন্য কিছু জিনিস লাগবে। 


  • একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন
  • যে সিমে বিকাশ খুলবেন সেই সিম কার্ডটি
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড (অ্যাপ দিয়ে খোলার ক্ষেত্রে) 
  • বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল 
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি (এজেন্টের কাছে খুললে) 


এখন চলুন দুই পদ্ধতিতেই দেখে নেই নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম। 


বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ। নিচের স্টেপগুলো ফলো করে খুব সহজে আপনি নিজেই ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। 


১. বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোডঃ মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে প্লেস্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন।


২. রেজিষ্ট্রেশনঃ অ্যাপটি ওপেন করলে লগইন / রেজিমেন্টের নামক অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে অর্থাৎ রেজিষ্ট্রেশন এ ক্লিক করবেন। 



৩. মোবাইল নাম্বার ও অপারেটর সিলেক্টঃ এরপর আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে পরবর্তী লেখায় ক্লিক করবেন। তারপর আপনার অপারেটর বা সিম সিলেক্ট করবেন।




৪. পিন বা ওটিপিঃ এরপর আপনার সিমে একটি ওটিপি কোড আসবে। কোডটি আসলে Confirm এ ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে কিছু শর্তাবলী দিবে, আপনি আমার সম্মতি আছে লেখায় ক্লিক করবেন। 





৫. আইডি কার্ডের ছবি তোলাঃ এরপর আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সামনের এবং পেছনের ছবি তুলে সাবমিট এ ক্লিক করুন। 





৬. তথ্য প্রদান করাঃ আইডি কার্ডের ছবি তুলে সাবমিটে ক্লিক করলে আপনার এনআইডি এর তথ্য দেখতে পারবেন। সব তথ্য সঠিক থাকলে পরবর্তী লেখায় ক্লিক করুন। 




৭. নিজের ছবি তোলাঃ এরপর আপনার ছবি তুলতে হবে। ছবি তোলার জায়গা উজ্জ্বল হতে হবে যাতে মুখমণ্ডল স্পষ্ট দেখা যায়। 



৮. কনফার্মেশন এসএমএসঃ এরপর আপনার ফোনে একটি কনফার্মেশন এসএমএস আসবে। 





৯. লগইনঃ কনফার্মেশন এসএমএস আসার পর লগইন / রেজিস্ট্রেশন এ ক্লিক করবেন। তারপর আগের মতোই আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে পরবর্তী লেখায় ক্লিক করবেন। এবং অপারেটর যাচাই করবেন। তারপর ফোনে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে, কোড আসার পর কনফার্ম এ ক্লিক করবেন। 




১০. পিন সেট করাঃ এরপর আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন সেট করতে হবে। পিনটি অবশ্যই ৫ ডিজিটের হতে হবে এবং দুটো বক্সেই একই পিন দিতে হবে। 





১১. বিকাশ একাউন্টে প্রবেশঃ পিন সেট করার পর, আপনার ফোন নাম্বার এবং সেই পিনটি দিয়ে পরবর্তী লেখায় ক্লিক করুন  



১২. নাম এবং প্রোফাইল ছবি সেট করাঃ এরপর আপনার নাম দিন। তারপর আপনার একটি ছবি প্রোফাইল পিক হিসেবে সিলেক্ট করুন। 




১৩. একাউন্ট খোলা হয়েছেঃ ব্যস, আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে। এবার আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট দেখতে পারবেন। 




অনেকেই অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। দেখুন, app ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম আপাতত নেই। এক্ষেত্রে আপনি এজেন্টের কাছে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারেন। 


আরো পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম 


এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 

এজেন্টের কাছে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাইলে আপনাকে নিম্নোক্ত কিছু জিনিস নিয়ে যেতে হবে। 


  • আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যেতে হবে 
  • আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • যেই সিমে বিকাশ খুলবেন সেই ছবি নিয়ে যেতে হবে 


এগুলো নিয়ে গেলে এজেন্ট একটি ফরম পূরন করে আপনাকে বিকাশ একাউন্ট খুলে দিবে। এজেন্টের কাছ থেকে আপনার পিন নম্বর জেনে নিতে ভুলবেন না কিন্তু। 


জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় এবং আপনার যদি ন্যাশনাল আইডি কার্ড না থাকে, তাহলে আপনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। কিন্তু তা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সম্ভব নয়। 


জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনাকে আপনার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে হবে। আপনার দুইকপি ছবি, জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিতে হবে তাদের কাছে। তাহলে তারা আপনাকে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলে দিবে।


বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

দেশের সকল স্থানে নিরবচ্ছিন্ন সেবার ফলে বিকাশ জায়গা দখল করে নিয়েছে সকল মানুষের মনে। সবার মোবাইলে মোবাইলে রয়েছে বিকাশ একাউন্ট। বিকাশের এই জনপ্রিয়তা এবং চাহিদার কারণে অনেকেই নিজেদের করেছে তুলেছেন বিকাশ এজেন্ট হিসেবে।


বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়মসমুহঃ

  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা লাইসেন্স 
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 
  • মোবাইল  নাম্বার। 
  • ট্রেড লাইসেন্স। 
  • আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম। 


এসব তথ্য প্রদান করে আপনাকে এজেন্টের কাছে জমা দিতে হবে। এরপর পিন নম্বর দিয়ে একাউন্ট সেট করে নিতে হবে। 


বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট বলতে মুলত ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনায় ব্যবহৃত বিকাশ একাউন্টকে বোঝায়। বিকাশ পারসোনাল একাউন্টের চেয়ে এই একাউন্টে একটু বেশিই  সুবিধা পাওয়া যায়। 


বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য, প্রথমে আপনাকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে যেতে হবে এই ওয়েবসাইটে। আবেদনের পর ফর্মে উল্লেখিত ফোন নাম্বারে কল করে বিকাশ মার্চেন্ট অফিসে আসার জন্য বলা হবে। প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও ডকুমেন্টের সহিত অফিসে সাবমিট করার পর বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট তৈরী হয়ে যাবে।


বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে নিম্নোক্ত তথ্য ও ডকুমেন্টসমুহ দরকার হয়ঃ

  • সিম সংযোগসহ একটি মোবাইল ফোন
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • দুই কপি পার্সপোট সাইজের ছবি
  • মেয়াদ আছে এমন প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স।


আরো পড়ুনঃ উপায় একাউন্ট খোলার নিয়ম 


নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার অফার

নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলে লগিন করলেই পাবেন ২৫ টাকা বোনাস। তারপর যেকোনো নাম্বারে ২৫ টাকা রিচার্জ করলে পাবেন ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক সহ ৫০ টাকা বোনাস।



উপরোক্ত অফার গুলো চলবে ৩১ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত। বিকাশ যেকোনো সময় বোনাস অফার পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে


বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম 

বিকাশ একাউন্ট খোলা তো হলো। এখন বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম জানতে হবে। দুইটি পদ্ধতিতে বিকাশ একাউন্ট দেখতে পারবেন। কোড ডায়াল করে এবং বিকাশ অ্যাপ দিয়ে। 


কোড ডায়াল করে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম 

  • ফোনের ডায়াল অপশনে গিয়ে ডায়াল করুন *247#। 
  • এরপর বিকাশ একাউন্টের সকল অপশন দেখতে পারবেন। ব্যালেন্স চেক করতে 8 প্রেস করে My bKash এ প্রবেশ করুন। 
  • এরপর 1 প্রেস করে Balace Check এ প্রবেশ করুন। 
  • তারপর আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন দিন। তারপর সেন্ড করলেই আপনার বিকাশ ব্যালেন্স দেখতে পারবেন। 


অ্যাপ থেকে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম

অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট দেখার জন্য–

  • বিকাশ অ্যাপ ওপেন 
  • আপনার ফোন নাম্বার এবং পিন দিন দিয়ে লগিন করুন। 
  • এরপর Tap for balance এ ক্লিক করুন। 


তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতে পারবেন। 


বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম 

ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার কোনো নিয়ম এখন পর্যন্ত নেই। যদি কোনো কারণে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চান, তাহলে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে নিকটস্থ বিকাশ অফিস বা এজেন্টের কাছে যেতে হবে। 


তাদের কাছে গিয়ে আপনি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চান এবং কি কারণে বন্ধ করতে চান সেটা বললে তারা আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে দিবে। 


বিকাশ পিন ভুলে ফেলে করনীয় (বিকাশ পিন রিসেট করার নিয়ম) 

সাধারণত বিকাশে তিন বারের বেশি ভুল পিন দিলে লক হয়ে যায় বিকাশ একাউন্ট। এক্ষেত্রে গ্রাহক পিন ভুলে গেলে নতুন একটি অস্থায়ী (টেম্পোরারি) পিন রিসেট করতে পারবেন।


সাধারণত কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ফোন নম্বর ১৬২৪৭, বিকাশ ফেসবুক পেজ এর লাইভ চ্যাট অপশন এবং ইমেইল এর মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করে, যথাযথ তথ্য দিয়ে খুব সহজেই নতুন পিন রিসেট এর জন্য অস্থায়ী পিন পেতে পারেন গ্রাহক। 


বিকাশ হেল্পলাইন 

বিকাশ সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ করতে পারেন নগদ হেল্পলাইনে। ফোন করার পাশাপাশি অনলাইনেও নেওয়া যাবে বিকাশ একাউন্ট সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান। 


বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বারঃ ১৬২৪৭

বিকাশ ইমেইলঃ [email protected]

বিকাশ লাইভ চ্যাটঃ https://livechat.bkash.com/

বিকাশ ফেসবুক পেজঃ facebook.com/bkashlimited/

বিকাশ অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.bkash.com


ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন ব্যবস্থায় জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে ফ্রড ও অসাধু লোকের সংখ্যা। তাই বিকাশ লেনদেনের ক্ষেত্রে সবার সতর্কতা মেনে চলা উচিত। 


মনে রাখবেন বিকাশ কখনোই তার গ্রাহকদের ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) এবং একাউন্টের পিন নম্বর জানতে চায় না। তাই কেউ ফোন দিয়ে ওটিপি বা পাসওয়ার্ড চাইলে দিবেন না। 


বিকাশ একাউন্ট খোলার সুবিধা

ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা বিকাশের রয়েছে নানাবিধ সুবিধা। ঘরে বসেই বিকাশ একাউন্ট খুলে উপভোগ করা যাবে বিকাশ এর সকল সুবিধা। বিকাশ একাউন্ট খোলার সুবিধাসমুহ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ


ক্যাশ ইনঃ দেশের সব স্থানেই রয়েছে বিকাশ এজেন্ট। ফলে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই নির্ভেজালে টাকা আদান-প্রদান করা যায়। যেকোনো সময় দেশের যেকোনো স্থান থেকেই দেশের অন্য প্রান্তে খুব সহজে টাকা পাঠানো যায়।


ফ্রি সেন্ড মানিঃ বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রিয় ৫ টি নাম্বারে সেন্ড মানি করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে।


ক্যাশ আউটঃ বিকাশ একাউন্টে থাকা টাকা যেকোনো সময় এজেন্ট এর কাছ থেকে ক্যাশ আউট করা যায়। এছাড়াও ব্র‍্যাক ব্যাংক এটিএম থেকেও বিকাশ এ টাকা তোলা যায়। 


ফ্রি মোবাইল রিচার্জঃ বিকাশ একাউন্ট থেকে বিকাশ অ্যাপ বা কোড ডায়াল করে খুব সহজেই মোবাইলে রিচার্জ করা যায়। এক্ষেত্রে মোবাইল রিচার্জের জন্য কোনো ফি প্রযোজ্য নয়।


ফ্রি এডমানিঃ যেকোনো ব্যাংক একাউন্টের কার্ড থেকে বিকাশ টাকা আনতে পারবেন খুব সহজেই। সাথে রয়েছে আকর্ষণীয় সব বোনাস অফার।


অফারঃ বিকাশ এ সবসময় বিভিন্ন অফার, বোনাস ও ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইন চলতেই থাকতে। আর এটা সবাই জানে যে বিকাশ সবসময় দারুণ সব অফার দিয়ে থাকে। যা অন্য কোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয় না। বিকাশ একাউন্টে আপনি যে অফারটি সচারাচর বেশি পাবেন সেটি হচ্ছে রিচার্জে ক্যাশব্যাক অফার। 


কেনাকাটাঃ বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটা ও সেবার মূল্য বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। এছাড়াও ইন্টারনেট হতে যেকোনো কেনাকাটার ক্ষেত্রে বিকাশে পে করার মাধ্যমে পাওয়া যায় ক্যাশব্যাক সহ আকর্ষণীয় সব অফার।


অন্যান্যঃ বিকাশ ব্যবহার করে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণ, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, যানবাহনের টিকেট কেনার মতো আরো অনেক সুবিধা উপভোগ করা যায়।



প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীঃ 

বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন?

একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন। যে সিমে বিকাশ খুলবেন সেই সিম কার্ডটি। ন্যাশনাল আইডি কার্ড (অ্যাপ দিয়ে খোলার ক্ষেত্রে)। বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল। পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি (এজেন্টের কাছে খুললে)

বিকাশ একাউন্ট খুললে কত টাকা বোনাস?

নতুন বিকাশ একাউন্ট খুললে পাবেন ১০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস। একাউন্ট খুলে লগিন করলেই পাবেন ২৫ টাকা বোনাস। যেকোনো নাম্বারে ২৫ টাকা রিচার্জ করলে পাবেন ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক সহ ৫০ টাকা বোনাস। এবং পরবর্তী মাসে শর্ত অনুযায়ী লেনদেন করলে পাবেন নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস।

একটা এনআইডি Nid দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?

একটি Nid কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। অন্য কোনো বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় ব্যবহৃত হয়েছে এমন কোনো এনআইডি কার্ড দিয়ে নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে না।

বিকাশে বোনাস পাচ্ছি না কেন?

অপেক্ষা করুন। ২ কার্যদিবসের মধ্যে অর্থাৎ দুই দিনের মধ্যে ক্যাশব্যাক পেয়ে যাবেন। 

বিকাশ অ্যাপে ক্যাশ আউট চার্জ কত?

বিকাশ অ্যাপে ক্যাশ আউট চার্জ হাজারে ১৭.৫ টাকা।

বিকাশ কোড ডায়াল করে ক্যাশ আউটে চার্জ কতো?

বিকাশে কোড ডায়াল করলে ক্যাশ আউট করলে প্রতি হাজারে খরচ পরবে ১৮.৫০ টাকা।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় কিভাবে?

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে মোবাইল, জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি এবং আপনার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি নিয়ে নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করুন। 

বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি টাকা লাগে?

না, বিকাশ একাউন্ট খোলা সম্পুর্ণ ফ্রি।

বিকাশ পিন লক হলে করণীয় কি?

বিকাশ পিন লক হলে আপনার এনআইডি কার্ড নিয়ে বিকাশ এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করুন। অথবা বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার ১৬২৪৭ এ ফোন। বিস্তারিত আমরা উপরে বলেছি।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা যায় কিভাবে? 

ঘরে বসেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা সম্ভব নয়। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে আপনার আইডি কার্ড এবং মোবাইল নিয়ে নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার বা এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করুন। 

এই ছিল বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২ সালের। আশা করি আমরা আপনাদের বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা এবং তার সমাধান সম্পর্কে জানাতে পেরেছি। তবুও যদি কোনো বিষয়ে সমস্যা হয়, তাহলে নিচে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url